ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৫/১২/২০২৪ ৭:৫৪ পিএম

বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয়। ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য।’ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতারে সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় দেশ গড়তে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নানা মত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয়। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য। যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। এর পরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবিদাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে, আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।

এ সময় সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম, তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ দূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে মালয়েশিয়ার প্রভাব, বিশেষ করে দেশটির আসিয়ান সভাপতির ভূমিকা ...

চলতি বছরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রভাব, বিশেষ করে দেশটির ...